সবুজ চা | গ্রিন টি'র এর গুনাগুণ ও উপকারিতা | কি ভাবে বানাবেন গ্রিন টি | Green tea - Tecno news

সবুজ চা | গ্রিন টি'র এর গুনাগুণ ও উপকারিতা | কি ভাবে বানাবেন গ্রিন টি | Green tea

সবুজ চা বা গ্রিন টি-র রয়েয়ে আরো অনেক গুণ। সবুজ চা পান যেমন ত্বকের ভেতর থেকে সুরক্ষা দেবে, তেমনি রোদে পোড়া সবুজ চা ত্বক স্বাভাবিক করতেও মাখা যেতে পারে সবুজ চা। এতে যেমন ত্বকের রোদ-পোড়া ভাব দূর হবে, তেমনি সবুজ চা ত্বকও থাকবে সতেজ। সূর্যালোকের সবুজ চা অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাবে অল্প বয়সেই বুড়িয়ে যেতে পারে আপনার ত্বক। কি ভাবে বানাবেন গ্রিন টি জল গরম করে ফুটে গেলে (৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় জল থাকলে ভাল।) তারপর তা সামান্য ঠান্ডা হলে স্টিল বা কাচের পাত্রে রাখতে হবে। তার পর এতে চা পাতা যোগ করে ৩ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। চা পাতা পুরোপুরি ভিজে গেলে পছন্দের কাপে চা ছেঁকে চুমুক দিন প্রিয় পানীয়তে।

সবুজ চা বা গ্রিন টি-র রয়েয়ে আরো অনেক গুণ। সবুজ চা পান যেমন ত্বকের ভেতর থেকে সুরক্ষা দেবে, তেমনি রোদে পোড়া সবুজ চা ত্বক স্বাভাবিক করতেও মাখা যেতে পারে সবুজ চা। এতে যেমন ত্বকের রোদ-পোড়া ভাব দূর হবে, তেমনি সবুজ চা ত্বকও থাকবে সতেজ। সূর্যালোকের সবুজ চা অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাবে অল্প বয়সেই বুড়িয়ে যেতে পারে আপনার ত্বক। কি ভাবে বানাবেন গ্রিন টি জল গরম করে ফুটে গেলে (৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় জল থাকলে ভাল।) তারপর তা সামান্য ঠান্ডা হলে স্টিল বা কাচের পাত্রে রাখতে হবে। তার পর এতে চা পাতা যোগ করে ৩ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। চা পাতা পুরোপুরি ভিজে গেলে পছন্দের কাপে চা ছেঁকে চুমুক দিন প্রিয় পানীয়তে।    সবুজ চা বা গ্রিন টি দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে চা প্রেমীদের কাছে। এটি আমাদের রূপচর্চার ক্ষেত্রেও সমান কার্যকর। লাবণ্যময় সতেজ ত্বকের জন্য উপকারী এই সবুজ চা। সবুজ চায়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তাই বিভিন্নরকম প্রসাধন সামগ্রী তৈরিতেও ব্যবহৃত হয় সবুজ চায়ের নির্যাস। সবুজ চা বা গ্রিন টি-র রয়েয়ে আরো অনেক গুণ।  সবুজ চা পান যেমন ত্বকের ভেতর থেকে সুরক্ষা দেবে, তেমনি রোদে পোড়া ত্বক স্বাভাবিক করতেও মাখা যেতে পারে সবুজ চা। এতে যেমন ত্বকের রোদ-পোড়া ভাব দূর হবে, তেমনি ত্বকও থাকবে সতেজ।  সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাবে অল্প বয়সেই বুড়িয়ে যেতে পারে আপনার ত্বক। সবুজ চায়ের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর উপাদান রোধ করে যা ত্বককে অল্প বয়সেই বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।  ব্রণ ও ফুসকুড়ি ঠেকাতে খুবই উপকারে আসে সবুজ চায়ের ব্যাকটেরিয়ারোধক উপাদান ‘ক্যাটেচিন’। ত্বকের হরমোনের ওপর ক্রিয়া করে ব্রণ ও ফুসকুড়ি রোধে ভূমিকা রাখে এটা। সবুজ চা হালকা করে পানিতে ভিজিয়ে পুরো মুখে মাখিয়ে রাখলেও উপকার পাবেন আপনি।  সবুজ চায়ের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়েও রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ক্যানসারের ক্ষতিকারক এনজাইম ঠেকাতে সহায়তা করে চায়ের এ উপাদান।  ত্বকের প্রদাহ থেকে মুক্তি দিতেও বিরাট উপশমকারীর ভূমিকা নিতে পারে সবুজ চা। এ ছাড়া ত্বকের প্রদাহজনিত রোগের ক্ষতিকর প্রভাব ঠেকাতে সাহায্য করবে এই চা।   প্রকৃতির এই অনন্য উপহার মানবকোষের নবায়নের প্রক্রিয়ায় দারুণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। পুরোনো কোষগুলোকে জৈবিকভাবে শক্তি জোগাতে পারে সবুজ চায়ের ‘পলিফেনল’ উপাদান। এভাবে অকালে বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করতেও সহায়তা করে সবুজ চা।  গ্রিন টি'র এর গুনাগুণ ও উপকারিতা গ্রিন টি বা সবুজ চা। জাপানি ভাষায় এটাকে বলা হয় ওচা। মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী একটি চা পাতা। প্রায় ৪০০০ বছর আগে থেকেই চীনে মাথাব্যথার ওষুধ হিসেবে এটা ব্যবহার ছিল। এরপর সময়ের ব্যবধানে জাপান, কোরিয়াসহ পশ্চিমা দেশগুলোয়ও এর ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়। গবেষকরা গ্রিন টির মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন অনেক রোগের ওষুধ। সবুজ চা পানে ৬০ ভাগ ক্যান্সার হেসোফেজিয়াল দূর করা সম্ভব হয়েছে চীনের ক্ষেত্রে। গবেষকরা আবিষ্কার করেন, সবুজ চা ক্যান্সার কোষ প্রজনন প্রতিরোধ করে। আরও কিছু গবেষণায় জানা যায়, সবুজ চা শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল লেভেলের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। সবুজ চায়ের প্রধান ক্যারিশমাটা হলো এর একটা উপাদান একটি শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। কালোপাশ্বর্ প্রজনন ক্ষমতা একদম নষ্ট করে ফেলে এটি।  কী এই গ্রিন টি? পাতাকে বিশেষ প্রক্রিয়াজাত করে গ্রিন টি বা সবুজ চা উৎপাদন করা হয়। ঠিক বø্যাক টির (আমরা যেটা খাই) মতো। এটার সামান্য একটা দুবর্ল দিক হলোÑ এটায় সামান্য পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে যা বø্যাক টির ক্যাফেইনের মতো শরীরের জন্য এত মারাত্মক বা ক্ষতিকর নয়। তবে এর রোগ প্রতিরোধের কাযর্কারিতার দিকে তাকালে অনায়াসেই এই দুবর্লতা বাদ দেয়া যায়। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। আলঝেইমার বা মেমরি লস এবং পারকিলসের ঝুঁকি কমায়। হাটর্ অ্যাটাকের ঝঁুকি কমায়। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়। ইনফেকশন কাযর্কর হওয়ার ঝঁুকি কমায়। কিডনি ও ডায়াবেটিস রোগের জন্য উপকারী সবুজ চা যেভাবে খাবেন :   কিডনি, ডায়াবেটিস ও মূত্রনালির ইনফেকশন এগুলোর জন্য দিনে সাধারণত ৩ লিটার পানি খেতে ডাক্তাররা পরামশর্ দেন। আরও পরামশর্ হলো ৩ লিটার পরিমাণ গরম পানিতে কিছু পরিমাণ সবুজ চা পাতা বা একটা সবুজ টি প্যাকেট ছড়িয়ে দিন। পানি ঠাÐা হলে প্রতি ২ ঘণ্টায় এক গøাস করে পানি পান করুন। এভাবে দিনে ১২ গøাস পানি শরীরের জন্য বেশ উপকারী। বিশেষ করে কিডনি, ডায়াবেটিস ও মূত্রনালিতে ইনফেকশন আছে এমন রোগীদের জন্য। তবে সাধারণ লোকদের জন্য পরামশর্ হলো দৈনিক ৪ গøাস বা এক লিটার সবুজ চা। তাই বেশি করে সবুজ চা পান করুন, স্বাস্থ্য ভালো রাখুন।  কি ভাবে বানাবেন গ্রিন টি গ্রিন টি বিশ্বব্যাপী খাওয়া একটি জনপ্রিয় পানীয়। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, এটি হেলথ ড্রিঙ্ক হিসাবেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। গ্রিন টি ক্যামেলিয়া সিনেনেসিস গাছের পাতা থেকে তৈরি হয় এবং বেশ কিছু ভিন্ন ভিন্ন ধরণের হয়। এটি গরম, ঠান্ডা বা গুঁড়ো আকারে উপভোগ করা যায় এবং পাশাপাশি এর উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান স্বাস্থ্যগত সুবিধার জন্য সমাদৃত।  গ্রীন টি এর উপকারিতা এত বেশি যে বেশ কিছু গবেষক এটি নিয়ে ভীষণ উৎসাহিত। কেন গ্রীন টি পান করা উচিত তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পিএইচডি গবেষক ক্রিস্টোফার ওচনার বলেছেন, “এটি আপনার পক্ষে খবই ভাল, তাই পান করার জন্য আমি সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর জিনিসটি হিসেবে শুধু এটিকে ভাবতে পারি।” তিনি মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের আইকান স্কুল অফ মেডিসিনের পুষ্টি বিষয়ক গবেষণা বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত আছেন।  অবশ্যই, কোনও খাবারই আপনাকে রোগ থেকে রক্ষা করবে না, যদি আপনি আপনার স্বাস্থ্য, জীবনযাত্রায় এবং অভ্যাসগুলো সম্পর্কে সচেতন না হোন। অন্যান্য চায়ের তুলনায় গ্রীন টি খাওয়ার নিয়ম রয়েছে বেশ অনেকগুলো। তাই আপনি যদি গ্রিন টি পান করেন তবে নিয়ম অনুযায়ী পান করাই ভাল। পাশাপাশি আপনার নিজেরও অন্যান্য উপায়ে শরীরের যত্ন নেওয়া দরকার যেমন ধূমপান না করা এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েট খাওয়ার মতো।  গ্রীন টি কি দিয়ে তৈরি? বোস্টনের পুষ্টিবিজ্ঞানী আরডি বেথ রিয়ার্ডন বলেছেন, “এটি ক্যাটেকিনের উপাদান দ্বারা গঠিত। এইগুলো একধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস যা রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং এমনকি কোষের ক্ষতি রোধ করতে পারে।“ আজকের এই লিখাতে আমরা বিস্তারতিভাবে জানব গ্রীন টি তৈরি করার নিয়ম ও এর বিশেষ বিশেষ উপকারিতাগুলো সম্পর্কে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক। গ্রীন টি বানানোর নিয়ম প্রথমেই আমরা আলোচনা করব গ্রীন টি বানানোর উপায় গুলো নিয়ে। এখানে আমরা বলে নিতে চাই গ্রীন টি এর অপকারিতা সম্পর্কে। এর অপকারিতা বলতে বুঝায় যে সঠিক নিয়মে বানানো না হলে এই টি এর বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। তাই সঠিক নিয়ম মেনে এই টি তৈরি করা উচিৎ। নিচে পর্যায়ক্রমিকভাবে এটির প্রস্তুতপ্রণালী আপনাদের সামনে তুলে ধরব।  • পানীয় জল সিদ্ধ করুন এবং 2-3 মিনিটের জন্য কিছুটা শীতল হতে দিন, এই সামান্য শীতল জল আপনার সূক্ষ্ম চা পাতা থেকে সেরা উপকার পাবেন।  • পানির ভিতর টি ব্যাগটি ছেড়ে দিন একটু সময় সুস্বাদু সুগন্ধের ছড়িয়ে পড়বে।  • টিয়া ব্যাগটি ৩ মিনিট অবধি ভিজিয়ে রাখুন । আপনি যদি কড়া স্বাদ পছন্দ করেন, তাহলে আপনি কিছুটা দীর্ঘ সময় আরও ভিজিয়ে রাখতে পারেন। তবে নজর রাখুন, কেননা অতিরিক্ত সময় রাখলে তা চা তিতা স্বাধের মনে হতে পারে।  • যদি ইচ্ছে হয়, আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী চিনি নিতে পারেন।  • টি ব্যাগটি তুলে ফেলুন। এবার আপনার স্বাদে সতেজ গ্রিন টি উপভোগ করুন।  ১। শক্তিশালী বায়োঅ্যাকটিভ উপাদানের উপস্থিতি গ্রিন টি হাইড্রেটিং পানীয়ের চেয়ে বেশি কার্যকর। গ্রিন টি প্লান্টে বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যকর যৌগ রয়েছে যা এটিকে সর্বাধিক উপকারী পানীয় হিসাবে পরিণত করে। চা প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল সমৃদ্ধ, যা প্রাকৃতিক যৌগ যা স্বাস্থ্য উপকার যেমন যেমন প্রদাহ হ্রাস এবং ক্যান্সারের সাথে লড়াই করতে সহায়তা করে। গ্রিন টিতে এপিগালোকটেকিন -৩-গ্যালেট (ইজিসিজি) নামে একটি ক্যাটচিন থাকে। ক্যাটচিইনস হ’ল প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোষের ক্ষতি রোধ করতে এবং অন্যান্য সুবিধা সরবরাহ করতে সহায়তা করে। গ্রিন টিতে স্বল্প পরিমাণে খনিজ রয়েছে যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।  ২। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা গ্রিন টি আপনাকে সজাগ রাখার চেয়ে আরও বেশি কিছু করে, এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতেও সহায়তা করতে পারে। মূল সক্রিয় উপাদানটি হল ক্যাফেইন, যা একটি পরিচিত উত্তেজক। এটিতে ক্যাফেইন কফির মতো অতিরিক্ত পরিমাণে থাকে না। বিভিন্ন গবেষণা ধারাবাহিকভাবে দেখিয়েছে যে ক্যাফিন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা, মেজাজ, সজাগতা, প্রতিক্রিয়া সময় এবং মেমরি সহ বিভিন্ন দিক উন্নত করতে পারে।  অনেক লোক কফির তুলনায় গ্রিন টি পান করার সময় আরও স্থিতিশীল শক্তি থাকার এবং আরও বেশি উত্পাদনশীল হওয়ার কথা জানান। গ্রিন টি স্বল্প মেয়াদে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কেবল উন্নত করতে পারে না, এটি আপনার বয়সের সাথে সাথে আপনার মস্তিষ্ককে সুরক্ষা দিতে পারে। গ্রিন টিতে বায়োঅ্যাকটিভ যৌগগুলি মস্তিষ্কে বিভিন্ন প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ফেলতে পারে। এগুলি বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ডিমেনশিয়া, একটি সাধারণ নিউরোডিজেনারেটিভ ডিসঅর্ডার ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।  ৩। চর্বি কমাতে সাহায্য করে যদি আপনি কোনও চর্বি জ্বলানোর পরিপূরকের জন্য উপাদানগুলির তালিকাটি দেখেন, সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে গ্রিন টি থাকবে। এটি কারণ, গবেষণা অনুসারে, গ্রিন টি ফ্যাট বার্ন বৃদ্ধি করতে পারে এবং বিপাকের হারকে বাড়িয়ে তুলতে পারে । ১০ জন স্বাস্থ্যবান পুরুষকে নিয়ে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, গ্রিন টির এক্সট্রাক্ট গ্রহণ করলে ক্যালোরির পোড়ার হার ৪% বেড়েছে। ক্যাফিন ফ্যাট টিস্যু থেকে ফ্যাটি অ্যাসিডগুলি আলাদা করে এবং এনার্জি হিসাবে ব্যবহারের জন্য তাদেরকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে শারীরিক কর্মক্ষমতা উন্নত করতে পারে।  ৪। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টগুলি কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে ক্যান্সার কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি দ্বারা সৃষ্ট হয়। এটি বিশ্বের অন্যতম প্রধান মৃত্যুর কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে যে অক্সিডেটিভের কারণে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ হতে পারে, যা ক্যান্সার সহ দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণ হতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টগুলি অক্সিডেটিভ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারে। গ্রিন টি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির একটি দুর্দান্ত উৎস।  গবেষণার একটি পর্যালোচনাতে দেখা গেছে যে, সবুজ চা পান করে এমন মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ২০%-৩০% কম থাকে, মহিলাদের মধ্যে অন্যতম সাধারণ ক্যান্সার। অন্য একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে সবুজ চা পান করা পুরুষদের প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কম ছিল।সর্বাধিক স্বাস্থ্য সুবিধা পেতে, আপনার চায়ের সাথে দুধ এড়িয়ে চলুন। কিছু গবেষণা প্রমাণ করেছে যে এটি কিছু চায়ের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট মান হ্রাস করতে পারে।  ৫। খারাপ শ্বাসকে হ্রাস করতে পারে গ্রিন টিতে থাকা কেটচিনগুলিও ওরাল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী রয়েছে। টেস্ট-টিউব সমীক্ষায় পরামর্শ দেওয়া হয় যে ক্যাটচিনগুলি ব্যাকটিরিয়ার বৃদ্ধি দমন করতে পারে, যা মুখের সংক্রমণের ঝুঁকি সম্ভাব্যভাবে হ্রাস করে। স্ট্রেপ্টোকোকাস মিটানস মুখের একটি সাধারণ ব্যাকটিরিয়া। এটি মুখ গহ্বর এবং দাঁতের ক্ষয়ের জন্য মূল দায়ী। গ্রিন টিতে থাকা ক্যাটচিনগুলি ল্যাবগুলিতে মৌখিক ব্যাকটিরিয়ার বৃদ্ধিকে বাধা দিতে পারে।  ৬। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে ডায়াবেটিসের হার সাম্প্রতিক দশকে বেড়ে চলেছে। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, আমাদের দেশের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় যা শরীরকে ইনসুলিন উৎপাদনে অক্ষম করে ফেলে। গ্রিন টি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে পারে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করতে পারে।  ৭। কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে হৃদরোগ এবং স্ট্রোক সহ হৃদযন্ত্রের রোগগুলি বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর প্রধান কারণ। গ্রিন টি এই রোগগুলির জন্য কয়েকটি প্রধান ঝুঁকিগুলো দূর করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে কোলেস্টেরল কমানো। বিভিন্ন স্টাডি থেকে দেখা গেছে যে যাঁরা প্রতিদিন ১ কাপ গ্রীন টি খান তাদের তুলনায় যাঁরা প্রতিদিন ৫ কাপ গ্রীন টি খান তাদের হার্ট অনেক বেশি ফিট। তাদের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ হবার সুযোগও খুবই কম।  ৮। ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে গ্রীন টি স্বল্পমেয়াদে বিপাকের হারকে বাড়িয়ে তুলতে পারে যা আপনার ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করবে। এটি শরীরের মেদ হ্রাস করতে সহায়তা করতে পারে, বিশেষত পেটের দিকের মেদ কমায়। গবেষণায় দেখা যায়, নিয়মিত গ্রীন টি পান করায় শরীরের চর্বি, দেহের ওজন, কোমরের পরিধি এবং পেটের চর্বি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে।  তাই পরিশেষে বলা যায়, গ্রীন টি এর উপকারিতা অসীম। নিয়মিত এই চা খাওয়ার অভ্যাস করুন এবং নিজের শরীর ও মনকে সতেজ ও সুস্থ রাখুন।

সবুজ চা | গ্রিন টি'র এর গুনাগুণ ও উপকারিতা | কি ভাবে বানাবেন গ্রিন টি

সবুজ চা বা গ্রিন টি দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে চা প্রেমীদের কাছে। এটি আমাদের রূপচর্চার ক্ষেত্রেও সমান কার্যকর। লাবণ্যময় সতেজ ত্বকের জন্য উপকারী এই সবুজ চা। সবুজ চায়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তাই বিভিন্নরকম প্রসাধন সামগ্রী তৈরিতেও ব্যবহৃত হয় সবুজ চায়ের নির্যাস। সবুজ চা বা গ্রিন টি-র রয়েয়ে আরো অনেক গুণ।

সবুজ চা পান যেমন ত্বকের ভেতর থেকে সুরক্ষা দেবে, তেমনি রোদে পোড়া ত্বক স্বাভাবিক করতেও মাখা যেতে পারে সবুজ চা। এতে যেমন ত্বকের রোদ-পোড়া ভাব দূর হবে, তেমনি ত্বকও থাকবে সতেজ।

সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাবে অল্প বয়সেই বুড়িয়ে যেতে পারে আপনার ত্বক। সবুজ চায়ের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর উপাদান রোধ করে যা ত্বককে অল্প বয়সেই বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।

ব্রণ ও ফুসকুড়ি ঠেকাতে খুবই উপকারে আসে সবুজ চায়ের ব্যাকটেরিয়ারোধক উপাদান ‘ক্যাটেচিন’। ত্বকের হরমোনের ওপর ক্রিয়া করে ব্রণ ও ফুসকুড়ি রোধে ভূমিকা রাখে এটা। সবুজ চা হালকা করে পানিতে ভিজিয়ে পুরো মুখে মাখিয়ে রাখলেও উপকার পাবেন আপনি।

সবুজ চায়ের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়েও রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ক্যানসারের ক্ষতিকারক এনজাইম ঠেকাতে সহায়তা করে চায়ের এ উপাদান।

ত্বকের প্রদাহ থেকে মুক্তি দিতেও বিরাট উপশমকারীর ভূমিকা নিতে পারে সবুজ চা। এ ছাড়া ত্বকের প্রদাহজনিত রোগের ক্ষতিকর প্রভাব ঠেকাতে সাহায্য করবে এই চা।

প্রকৃতির এই অনন্য উপহার মানবকোষের নবায়নের প্রক্রিয়ায় দারুণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। পুরোনো কোষগুলোকে জৈবিকভাবে শক্তি জোগাতে পারে সবুজ চায়ের ‘পলিফেনল’ উপাদান। এভাবে অকালে বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করতেও সহায়তা করে সবুজ চা।

গ্রিন টি'র এর গুনাগুণ ও উপকারিতা

গ্রিন টি বা সবুজ চা। জাপানি ভাষায় এটাকে বলা হয় ওচা। মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী একটি চা পাতা। প্রায় ৪০০০ বছর আগে থেকেই চীনে মাথাব্যথার ওষুধ হিসেবে এটা ব্যবহার ছিল। এরপর সময়ের ব্যবধানে জাপান, কোরিয়াসহ পশ্চিমা দেশগুলোয়ও এর ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়। গবেষকরা গ্রিন টির মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন অনেক রোগের ওষুধ। সবুজ চা পানে ৬০ ভাগ ক্যান্সার হেসোফেজিয়াল দূর করা সম্ভব হয়েছে চীনের ক্ষেত্রে। গবেষকরা আবিষ্কার করেন, সবুজ চা ক্যান্সার কোষ প্রজনন প্রতিরোধ করে। আরও কিছু গবেষণায় জানা যায়, সবুজ চা শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল লেভেলের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। সবুজ চায়ের প্রধান ক্যারিশমাটা হলো এর একটা উপাদান একটি শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। কালোপাশ্বর্ প্রজনন ক্ষমতা একদম নষ্ট করে ফেলে এটি।

কী এই গ্রিন টি?

পাতাকে বিশেষ প্রক্রিয়াজাত করে গ্রিন টি বা সবুজ চা উৎপাদন করা হয়। ঠিক বø্যাক টির (আমরা যেটা খাই) মতো। এটার সামান্য একটা দুবর্ল দিক হলোÑ এটায় সামান্য পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে যা বø্যাক টির ক্যাফেইনের মতো শরীরের জন্য এত মারাত্মক বা ক্ষতিকর নয়। তবে এর রোগ প্রতিরোধের কাযর্কারিতার দিকে তাকালে অনায়াসেই এই দুবর্লতা বাদ দেয়া যায়। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। আলঝেইমার বা মেমরি লস এবং পারকিলসের ঝুঁকি কমায়। হাটর্ অ্যাটাকের ঝঁুকি কমায়। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়। ইনফেকশন কাযর্কর হওয়ার ঝঁুকি কমায়। কিডনি ও ডায়াবেটিস রোগের জন্য উপকারী সবুজ চা যেভাবে খাবেন :

কিডনি, ডায়াবেটিস ও মূত্রনালির ইনফেকশন এগুলোর জন্য দিনে সাধারণত ৩ লিটার পানি খেতে ডাক্তাররা পরামশর্ দেন। আরও পরামশর্ হলো ৩ লিটার পরিমাণ গরম পানিতে কিছু পরিমাণ সবুজ চা পাতা বা একটা সবুজ টি প্যাকেট ছড়িয়ে দিন। পানি ঠাÐা হলে প্রতি ২ ঘণ্টায় এক গøাস করে পানি পান করুন। এভাবে দিনে ১২ গøাস পানি শরীরের জন্য বেশ উপকারী। বিশেষ করে কিডনি, ডায়াবেটিস ও মূত্রনালিতে ইনফেকশন আছে এমন রোগীদের জন্য। তবে সাধারণ লোকদের জন্য পরামশর্ হলো দৈনিক ৪ গøাস বা এক লিটার সবুজ চা। তাই বেশি করে সবুজ চা পান করুন, স্বাস্থ্য ভালো রাখুন।

কি ভাবে বানাবেন গ্রিন টি

গ্রিন টি বিশ্বব্যাপী খাওয়া একটি জনপ্রিয় পানীয়। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, এটি হেলথ ড্রিঙ্ক হিসাবেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। গ্রিন টি ক্যামেলিয়া সিনেনেসিস গাছের পাতা থেকে তৈরি হয় এবং বেশ কিছু ভিন্ন ভিন্ন ধরণের হয়। এটি গরম, ঠান্ডা বা গুঁড়ো আকারে উপভোগ করা যায় এবং পাশাপাশি এর উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান স্বাস্থ্যগত সুবিধার জন্য সমাদৃত।

গ্রীন টি এর উপকারিতা এত বেশি যে বেশ কিছু গবেষক এটি নিয়ে ভীষণ উৎসাহিত। কেন গ্রীন টি পান করা উচিত তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পিএইচডি গবেষক ক্রিস্টোফার ওচনার বলেছেন, “এটি আপনার পক্ষে খবই ভাল, তাই পান করার জন্য আমি সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর জিনিসটি হিসেবে শুধু এটিকে ভাবতে পারি।” তিনি মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের আইকান স্কুল অফ মেডিসিনের পুষ্টি বিষয়ক গবেষণা বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত আছেন।

অবশ্যই, কোনও খাবারই আপনাকে রোগ থেকে রক্ষা করবে না, যদি আপনি আপনার স্বাস্থ্য, জীবনযাত্রায় এবং অভ্যাসগুলো সম্পর্কে সচেতন না হোন। অন্যান্য চায়ের তুলনায় গ্রীন টি খাওয়ার নিয়ম রয়েছে বেশ অনেকগুলো। তাই আপনি যদি গ্রিন টি পান করেন তবে নিয়ম অনুযায়ী পান করাই ভাল। পাশাপাশি আপনার নিজেরও অন্যান্য উপায়ে শরীরের যত্ন নেওয়া দরকার যেমন ধূমপান না করা এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েট খাওয়ার মতো।

গ্রীন টি কি দিয়ে তৈরি?

বোস্টনের পুষ্টিবিজ্ঞানী আরডি বেথ রিয়ার্ডন বলেছেন, “এটি ক্যাটেকিনের উপাদান দ্বারা গঠিত। এইগুলো একধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস যা রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং এমনকি কোষের ক্ষতি রোধ করতে পারে।“
আজকের এই লিখাতে আমরা বিস্তারতিভাবে জানব গ্রীন টি তৈরি করার নিয়ম ও এর বিশেষ বিশেষ উপকারিতাগুলো সম্পর্কে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

গ্রীন টি বানানোর নিয়ম

প্রথমেই আমরা আলোচনা করব গ্রীন টি বানানোর উপায় গুলো নিয়ে। এখানে আমরা বলে নিতে চাই গ্রীন টি এর অপকারিতা সম্পর্কে। এর অপকারিতা বলতে বুঝায় যে সঠিক নিয়মে বানানো না হলে এই টি এর বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। তাই সঠিক নিয়ম মেনে এই টি তৈরি করা উচিৎ। নিচে পর্যায়ক্রমিকভাবে এটির প্রস্তুতপ্রণালী আপনাদের সামনে তুলে ধরব।

• পানীয় জল সিদ্ধ করুন এবং 2-3 মিনিটের জন্য কিছুটা শীতল হতে দিন, এই সামান্য শীতল জল আপনার সূক্ষ্ম চা পাতা থেকে সেরা উপকার পাবেন।

• পানির ভিতর টি ব্যাগটি ছেড়ে দিন একটু সময় সুস্বাদু সুগন্ধের ছড়িয়ে পড়বে।

• টিয়া ব্যাগটি ৩ মিনিট অবধি ভিজিয়ে রাখুন । আপনি যদি কড়া স্বাদ পছন্দ করেন, তাহলে আপনি কিছুটা দীর্ঘ সময় আরও ভিজিয়ে রাখতে পারেন। তবে নজর রাখুন, কেননা অতিরিক্ত সময় রাখলে তা চা তিতা স্বাধের মনে হতে পারে।

• যদি ইচ্ছে হয়, আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী চিনি নিতে পারেন।

• টি ব্যাগটি তুলে ফেলুন। এবার আপনার স্বাদে সতেজ গ্রিন টি উপভোগ করুন।

১। শক্তিশালী বায়োঅ্যাকটিভ উপাদানের উপস্থিতি

গ্রিন টি হাইড্রেটিং পানীয়ের চেয়ে বেশি কার্যকর। গ্রিন টি প্লান্টে বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যকর যৌগ রয়েছে যা এটিকে সর্বাধিক উপকারী পানীয় হিসাবে পরিণত করে। চা প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল সমৃদ্ধ, যা প্রাকৃতিক যৌগ যা স্বাস্থ্য উপকার যেমন যেমন প্রদাহ হ্রাস এবং ক্যান্সারের সাথে লড়াই করতে সহায়তা করে। গ্রিন টিতে এপিগালোকটেকিন -৩-গ্যালেট (ইজিসিজি) নামে একটি ক্যাটচিন থাকে। ক্যাটচিইনস হ’ল প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোষের ক্ষতি রোধ করতে এবং অন্যান্য সুবিধা সরবরাহ করতে সহায়তা করে। গ্রিন টিতে স্বল্প পরিমাণে খনিজ রয়েছে যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।

২। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা

গ্রিন টি আপনাকে সজাগ রাখার চেয়ে আরও বেশি কিছু করে, এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতেও সহায়তা করতে পারে। মূল সক্রিয় উপাদানটি হল ক্যাফেইন, যা একটি পরিচিত উত্তেজক। এটিতে ক্যাফেইন কফির মতো অতিরিক্ত পরিমাণে থাকে না। বিভিন্ন গবেষণা ধারাবাহিকভাবে দেখিয়েছে যে ক্যাফিন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা, মেজাজ, সজাগতা, প্রতিক্রিয়া সময় এবং মেমরি সহ বিভিন্ন দিক উন্নত করতে পারে।

অনেক লোক কফির তুলনায় গ্রিন টি পান করার সময় আরও স্থিতিশীল শক্তি থাকার এবং আরও বেশি উত্পাদনশীল হওয়ার কথা জানান। গ্রিন টি স্বল্প মেয়াদে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কেবল উন্নত করতে পারে না, এটি আপনার বয়সের সাথে সাথে আপনার মস্তিষ্ককে সুরক্ষা দিতে পারে। গ্রিন টিতে বায়োঅ্যাকটিভ যৌগগুলি মস্তিষ্কে বিভিন্ন প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ফেলতে পারে। এগুলি বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ডিমেনশিয়া, একটি সাধারণ নিউরোডিজেনারেটিভ ডিসঅর্ডার ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।

৩। চর্বি কমাতে সাহায্য করে

যদি আপনি কোনও চর্বি জ্বলানোর পরিপূরকের জন্য উপাদানগুলির তালিকাটি দেখেন, সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে গ্রিন টি থাকবে। এটি কারণ, গবেষণা অনুসারে, গ্রিন টি ফ্যাট বার্ন বৃদ্ধি করতে পারে এবং বিপাকের হারকে বাড়িয়ে তুলতে পারে । ১০ জন স্বাস্থ্যবান পুরুষকে নিয়ে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, গ্রিন টির এক্সট্রাক্ট গ্রহণ করলে ক্যালোরির পোড়ার হার ৪% বেড়েছে। ক্যাফিন ফ্যাট টিস্যু থেকে ফ্যাটি অ্যাসিডগুলি আলাদা করে এবং এনার্জি হিসাবে ব্যবহারের জন্য তাদেরকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে শারীরিক কর্মক্ষমতা উন্নত করতে পারে।

৪। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টগুলি কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে

ক্যান্সার কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি দ্বারা সৃষ্ট হয়। এটি বিশ্বের অন্যতম প্রধান মৃত্যুর কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে যে অক্সিডেটিভের কারণে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ হতে পারে, যা ক্যান্সার সহ দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণ হতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টগুলি অক্সিডেটিভ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারে। গ্রিন টি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির একটি দুর্দান্ত উৎস।

গবেষণার একটি পর্যালোচনাতে দেখা গেছে যে, সবুজ চা পান করে এমন মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ২০%-৩০% কম থাকে, মহিলাদের মধ্যে অন্যতম সাধারণ ক্যান্সার। অন্য একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে সবুজ চা পান করা পুরুষদের প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কম ছিল।সর্বাধিক স্বাস্থ্য সুবিধা পেতে, আপনার চায়ের সাথে দুধ এড়িয়ে চলুন। কিছু গবেষণা প্রমাণ করেছে যে এটি কিছু চায়ের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট মান হ্রাস করতে পারে।

৫। খারাপ শ্বাসকে হ্রাস করতে পারে

গ্রিন টিতে থাকা কেটচিনগুলিও ওরাল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী রয়েছে। টেস্ট-টিউব সমীক্ষায় পরামর্শ দেওয়া হয় যে ক্যাটচিনগুলি ব্যাকটিরিয়ার বৃদ্ধি দমন করতে পারে, যা মুখের সংক্রমণের ঝুঁকি সম্ভাব্যভাবে হ্রাস করে। স্ট্রেপ্টোকোকাস মিটানস মুখের একটি সাধারণ ব্যাকটিরিয়া। এটি মুখ গহ্বর এবং দাঁতের ক্ষয়ের জন্য মূল দায়ী। গ্রিন টিতে থাকা ক্যাটচিনগুলি ল্যাবগুলিতে মৌখিক ব্যাকটিরিয়ার বৃদ্ধিকে বাধা দিতে পারে।

৬। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে

ডায়াবেটিসের হার সাম্প্রতিক দশকে বেড়ে চলেছে। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, আমাদের দেশের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় যা শরীরকে ইনসুলিন উৎপাদনে অক্ষম করে ফেলে। গ্রিন টি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে পারে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করতে পারে।

৭। কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে

হৃদরোগ এবং স্ট্রোক সহ হৃদযন্ত্রের রোগগুলি বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর প্রধান কারণ। গ্রিন টি এই রোগগুলির জন্য কয়েকটি প্রধান ঝুঁকিগুলো দূর করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে কোলেস্টেরল কমানো। বিভিন্ন স্টাডি থেকে দেখা গেছে যে যাঁরা প্রতিদিন ১ কাপ গ্রীন টি খান তাদের তুলনায় যাঁরা প্রতিদিন ৫ কাপ গ্রীন টি খান তাদের হার্ট অনেক বেশি ফিট। তাদের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ হবার সুযোগও খুবই কম।

৮। ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে

গ্রীন টি স্বল্পমেয়াদে বিপাকের হারকে বাড়িয়ে তুলতে পারে যা আপনার ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করবে। এটি শরীরের মেদ হ্রাস করতে সহায়তা করতে পারে, বিশেষত পেটের দিকের মেদ কমায়। গবেষণায় দেখা যায়, নিয়মিত গ্রীন টি পান করায় শরীরের চর্বি, দেহের ওজন, কোমরের পরিধি এবং পেটের চর্বি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে।

তাই পরিশেষে বলা যায়, গ্রীন টি এর উপকারিতা অসীম। নিয়মিত এই চা খাওয়ার অভ্যাস করুন এবং নিজের শরীর ও মনকে সতেজ ও সুস্থ রাখুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url