গাজরের হালুয়া তৈরির সহজ উপায় | প্রতিদিন গাজর খাওয়ার উপকারিতা Bangla Food House
গাজরের হালুয়া তৈরির সহজ উপায় | প্রতিদিন গাজর খাওয়ার উপকারিতা Bangla Food House
গাজর (ইংরেজি: Carrot) (বৈজ্ঞানিক নাম Daucus carota) একপ্রকার
উপকারিতা
গাজরকে জানানো হয় সুপার ফুড।[৩] বিশেষ করে শীতকালীন এ সকল সাধারণ রোগ থেকে খালাস পাওয়ার চাইতে চমৎকার সবজি হলো এ গাজর। গাজরের ভিটামিন ও মিনারেলস দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যেটার ফলে সর্দি-ঠাণ্ডা ও কাশি হতে মুক্তির জন্য আমাদের দেহই কাজ করে থাকে। এছাড়াও নিচে এর কিছু জরুরি মঙ্গল সম্পর্কে আলোচনা করা হল
ভিটামিনের যোগানঃ
গাজরে অনেক হিসাব ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে। গাজরের মধ্যে থাকা বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। চোখের আদার্স সমস্যা, দৃষ্টিশক্তি ক্ষতি ইত্যাদির মতো সমস্যায় বাধা দেয়। এতো বিজ্ঞানের বইতেও আমরা পড়েছি। একারণে বাড়ির মানুষ কিন্তু ভ্রান্তি বলতেন না।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহায়কঃ
গাজরের ভিতরে ক্যারটিনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ক্যান্সার প্রতিরোধে ও রক্ত শুদ্ধিকরণের হেল্প করে এ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও মুখের থেকে আঁচড় ছোপ মুছে করে, বয়সের ছাপ মুছে করতে সহযোগিতা করে গাজরের জুস।
ক্যানসার প্রতিরোধেঃ
হজমের পর খাদ্যের কিছু আঁট-কুড় আমাদের শরীরে হতে যায়। যাকে ফ্রি র্যাডিকেলস বা মৌল বলে, এই ফ্রি র্যাডিকেলস শরীরের কিছু কোষ নষ্ট করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় আহার এই ধরনের মৌলের বিপক্ষে লড়াই করে। অঙ্গে ক্যানসারের কোষ উদ্ভাবন ছাড় হয়।
হৃদয়ের সুরক্ষায়ঃ
শারীরিকভাবে কর্মক্ষম থাকা, পর্যাপ্ত ঘুম ও চাপ মুক্ত থাকলে হার্ট সুস্থ থাকে। গাজর ডায়েটরি ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ থাকে। এই উপাদানগুলো ধমনির ওপর কোনো কিছুর আস্তরণ জমতে না দিয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে, হার্টকে সুস্থ রাখে।
উজ্জ্বল ত্বকঃ
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পটাশিয়ামের মতো খনিজের উপস্থিতি রয়েছে গাজরে। এই উপাদানগুলো ত্বককে রাখে সুস্থ ও সতেজ, এসব পুষ্টি উপকরণ ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, স্কিন টোনকে পুষ্ট করা এবং ত্বকে দাগ লেখাপড়া হতে রক্ষা করে।
কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণঃ
কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গাজর ভীষণভাবে হেল্প করে। গাজরের মধ্যে থাকা পটাশিয়ামই এর আসল কারণ। গাজরে ক্যালরি ও সুগারের উপকরণ খুবই কম। এ ছাড়া ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে, ফলে ওজন কমে।
আরও উপকারিতা
- ১. আগে গাজর না খেয়ে থাকলে এই সময়ে চালু করে দিন। কারণ গাজর দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। এতে আছে বিটা ক্যারোটিন যা আমাদের লিভারে গিয়ে ভিটামিন এ তে বদলে যায়। পরে সেটি চোখের রেটিনায় গিয়ে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে হেল্প করে, সেই সঙ্গে রাতের বেলায় অন্ধকারেও চোখে ভাল দেখার জন্য জরুরি এইরকম এক ধরনের বেগুনি পিগমেন্টের পরিমান বাড়িয়ে দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখার জন্য সহযোগিতা করে।
- ২. গাজর খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অফার থাকে। গাজরে রয়েছে ফ্যালকেরিনল ও ফ্যালকেরিনডায়ল যা আমাদের গাত্রে অ্যান্টিক্যান্সার উপাদানগুলোকে পূরণ করে। এজন্য গাজর খেলে ব্রেস্ট, কোলন, ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই হ্রাস পায় যায়।
- ৩. গাজর কেবলমাত্র দেহের জন্য ভাল এজন্য নয় এটা আমাদের জন্য অ্যান্টি এজিং উপকরণ হিসেবেও কাজ করে। এতে যে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে তা আমাদের শরীরের ভেতরে গিয়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে আমাদের শরীরের ক্ষয়প্রাপ্ত কোষগুলোকে ঠিকঠাক করে।
- ৪. চমৎকার ত্বকের জন্যও গাজর খেতে পারেন। এটি আপনার ত্বককে ভেতর হতে চমৎকার করে তুলতে সাহায্য করবে। এর ভিটামিন এই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ত্বকের রোদে দহন ভাব দূর করবে। সেই সঙ্গে ভিটামিন এ ত্বকের অযাচিত পড়া, কালো দাগ, ব্রন, ত্বকের রঙের অসামঞ্জস্যতা প্রভৃতি দূর করে আপনাকে ভালো হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
- ৫. এছাড়াও গাজর ভাল অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবেও কাজ করে। এটা অঙ্গে কোনো ঘা হলে তা ইনফেকশন হওয়া হতে রক্ষা করে। কোথাও কেটে বা পুড়ে গেলে সেখানে লাগিয়ে গ্রহন করুন কুচি করা গাজর বা সিদ্ধ করা গাজরের পেস্ট। আপনার ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।
- ৬. এছাড়া গাজর বাইরে থেকেও ত্বকের পর্যাপ্ত অনুগ্রহ করে। ফেশিয়ালের উপাদান হিসেবে ইউজ করতে পারেন।
- ৭. হৃৎপিণ্ডের নানা অসুখে এটি ভীষণ ভাল কাজ করে। এর ক্যারোটিনয়েডগুলো হৃৎপিণ্ডের নানা অসুখের ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
- ৮. গাজরে উপস্থিত ভিটামিন এই লিভারে গিয়ে তাকে দেহ থেকে নানা ধরনের টক্সিন জাতীয় মন্দ উপকরণ ক্লিয়ার করতে সহযোগিতা করে। এছাড়াও গাজরের এ উপাদান লিভার থেকে এক্সট্রা চর্বি সরিয়ে ফেলতে সহযোগিতা করে। সেই সঙ্গে গাজরের ফাইবার কোলন পরিষ্কার রাখে ও কোষ্ঠকাঠিন্যর হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করে।
- ৯. সুন্দর এবং সুস্থ্য সবল দাঁতের জন্য গাজরের জুড়ি মেলা ভার। গাজর আপনার দাঁত ও মুখের ভেতর ক্লিয়ার রাখে। গাজরের মিনারেলগুলো দাঁত অটুট রাখতে সহযোগিতা করে।
- ১০. হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা পরিচালিত কিছু দিন আগে এক গবেষণায় নোটিশ গেছে, যারা সপ্তাহে ছয়টির অধিক গাজর খান বা খাচ্ছেন তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি যারা এর হতে কম পরিমানে ছাড় বা ১টি গাজর খাচ্ছেন তাদের তুলনায় প্রচুর ছাড় হয়। এইজন্য স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে হলে এখনি নিজের খাবারের তালিকায় জয়েন করুন গাজর। সালাদ হিসেবেও খেতে পারেন বা তরকারিতেও দেওয়ার জন্য পারেন।
গুনাগুন, মর্যাদা ও দেহ উপকারিতা
গাজরে রয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যায় বিটা ক্যারোটিন। এ বিটা ক্যারোটিন বাচ্চা হতে বৃদ্ধ সবার চোখের পুষ্টি জোগায়, চোখের স্নায়ুকে করে শক্তিশালী। গবেষণায় লক্ষ্য গেছে, যারা রোজ কচি গাজর খায়, তাদের চোখের অসুখ হয় তুলনা মূলক কম। ত্বকের প্রখরতা বাড়াতে গাজরের মর্যাদা অনেক।
নতুন দাঁত বের হয়েছে বা সবজি দিয়ে খিচুড়ি খেতে পারে, এমন শিশুদের জন্য গাজর দিয়ে প্রস্তুত খিচুড়ি অনেক উপকারী। গাজর খেলে দাঁতের মাড়ির দুর্বলতা কমে, আহার হজম হয় ভালোভাবে। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর হিসাবে আঁশজাতীয় উপাদান। এ উপকরণ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
মায়ের দুধের পরিবর্তে কৌটার দুধ খায়, এমন শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয় বেশি। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ দেবে গাজরের খিচুড়ি। বাচ্চা গাজরের খিচুড়ি না খেলে দিতে পারেন গাজরের হালুয়া। গাজরের হালুয়া শিশুদের বুদ্ধি বিকাশে সাহায্য করে। কারণ, চিনি থাকে হালুয়ায়। চিনি মানে গ্লুকোজ, যা মস্তিষ্কের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে।
গাজরের রস অঙ্গে চর্বির মাত্রা কমায়। তাই ওজন কমাতে চান এমন ব্যক্তিরা কচি গাজর, কাঁচা পেপে, কচি বাঁধাকপির টুকরা খেতে পারেন ভাত, আলু, রুটির পরিবর্তে। গাজর রক্তের শ্রেষ্ঠ উপকরণ আরবিসিকে দীর্ঘজীবী করে। এতে রক্তে বেড়ে যায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা। রক্ত বাড়াতে হলে এইজন্য ডেইলি অন্তত ১টি কচি গাজর খান।
শরীরের যেসব কোলেস্টেরল রক্তের মধ্যে মিশে রক্তে মজবুত বেঁধে যায়, হূৎপিণ্ড হতে রক্ত সারা অঙ্গে পৌঁছাতে বাধা তৈরি করে, সেসব কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় গাজর। আর কয়েকটি কোলেস্টেরল বা চর্বি রয়েছে, যা ত্বকে কোলেস্টেরলের বা লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
যেকোনো বড় অস্ত্রোপচারের পর রক্তের ঘাটতি হয়। এ ঘাটতি পূর্ণ করবে গাজর। মানুষের মেধাশক্তি বাড়ানোর জন্য কাজ করে গাজর। মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলোকে করে দ্বিগুণ কর্মক্ষম। একারণে গাজর হোক আপনার বন্ধু।
ন্যাচারাল অ্যান্টি অক্সিডেন্টের পরিমাণ গাজরে অনেক বেশি, যা তারুণ্য ধরে রাখতে হেল্প করে। এতে খনিজ লবণও রয়েছে অনেক হারে, যা মানুষের হাড়, দাঁত, নখ, কেশের জন্য বয়ে আনে সুফল। কার্বোহাইড্রেট বা কার্বোহাইড্রেটও এর উপাদান। একারণে গাজর বহু মিষ্টি হলে কিডনি রোগে আক্রান্ত, এক্সট্রা মোটা মানুষ এবং ডায়াবেটিসের রোগীরা গাজর খাওয়ার সংখ্যা কমিয়ে দিন। মাটির তলে জন্মানোর জন্য এতে শর্করার পরিমাণ থাকে বেশি, ডায়াবেটিসের রোগীরা গাজরের সংখ্যা কমিয়ে সালাদে বাড়িয়ে দিন শসার পরিমাণ।
গাজর অধিক পুষ্টিকর, সুস্বাদু এবং খাদ্যআঁশসমৃদ্ধ শীতকালীন সবজি, যা প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। তরকারি এবং সালাদ হিসেবে গাজর খাওয়া যায়। এই ছাড়া গাজর দিয়ে অনেক সুস্বাদু অন্ন সৃষ্টি করা যায়। কিন্তু রান্না করে খাওয়ার চেয়ে গাজর কাঁচা খাওয়া বেশি ভালো। রিজন এতে পুষ্টির অপচয় কম হয়।
গাজরের হালুয়া কাজ
গাজর স্বাদে অত্যন্ত সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও আঁশসমৃদ্ধ শীতকালীন সবজি, যা প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। কাঁচা এবং রান্না দু’ভাবেই এটি খাওয়া যায়। তরকারী ও সালাদ হিসাবেও গাজর অতিমাত্রা জনপ্রিয়। গাজর অতি পুষ্টিমান পুষ্ট সবজি। এতে উচ্চমানের বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, মিনারেলস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। তবে এর সবচেয়ে ইম্পোর্টেন্ট যে উপকারটি হ’ল দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাওয়া। এই ছাড়াও আছে এইরকম অনেক স্বাস্থ্যগত সুবিধা।
সালাদ কিংবা সবজি কিংবা ঈষৎ লবণ মেখে এমনিতেই খাওয়া যায় গাজর। এই ছাড়া আছে গাজরের হালুয়া। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন যদি গাজর হতে সর্বোচ্চ পুষ্টিটা পেতে হয় কিন্তু কাঁচা গাজর খাওয়াই সর্বোত্তম। একারণে গাজরের জুস বানিয়ে খেলেই পাওয়া যাবে গাজরের মেক্সিমাম পুষ্টি উপাদান। কিছু দিন আগে একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গাজরের জুস স্বাস্থ্যের উন্নয়ন করবে কয়েকগুণ। নিচে এর কতিপয় তাৎপর্যপূর্ণ হিতকর সম্মন্ধে আলোচনা করা হ’ল-
১. দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক :
দৃষ্টিশক্তি বাড়তে ভিটামিন ‘এ’ ১টি ইম্পোর্টেন্ট উপাদান। লাল-কমলা রঙের ফল-মূল পক্ষান্তরে সবজি যেমন গাজর, মিষ্টি কুমড়া এবং তরমুজে বেটা-ক্যারোটিন নামের এক ধরনের উপকরণ থাকে। এ উপকরণটি গাত্রে ভিটামিন ‘এ’-তে রুপান্তর হয়। আর এতেই শরীরের অন্যান্য স্বাস্থ্যগত উপকারের পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
২. সঠিক রাখে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট :
শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নামক একটি উপাদানের কারণে বয়সের ছাপ চলে আসে। গাজরের ভিতরে যে ক্যারটিনয়েড থাকে তা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পরিমাণে কাজ করে। আর এ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহে বয়সের ছাপ আসার গতিকে ধীর করে। এই ছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহকে বিষমুক্ত করে, হৃদরোগ ও ক্যানসার প্রতিরোধেও সহায়তা করে।
৩. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হয় :
হজম প্রক্রিয়া শেষে খাবারের যে উচ্ছিষ্টাংশগুলো আমাদের অঙ্গে থেকে সেগুলোকে ফ্রি র্যাডিকেলস বা মৌল বলে। এই ফ্রি র্যাডিকেলস শরীরের কিছু কোষ বিকৃত করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় আহার এই ধরনের মৌলের বিপক্ষে যুদ্ধ করে। গাত্রে ক্যান্সারের কোষ উৎপত্তি নেওয়ার ঝোক কমে যায় যায়। গবেষণায় লক্ষ্য যায়, প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরে ৩৩ শতাংশ ভিটামিন ‘এ’, ৯ শতাংশ ভিটামিন ‘সি’ ও ৫ শতাংশ ভিটামিন ‘বি-৬’ পাওয়া যায়। এগুলো এক হয়ে ফ্রি র্যাডিকেলসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
৪. রোধ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি :
প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের জুস দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আশ্চর্যজনকভাবে বৃদ্ধি করে। শরীরে ক্ষতিকর জীবাণু, ম্যালওয়্যার ও নানারকম ধরনের প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। গাজরের জুসে ভিটামিন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খনিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস প্রভৃতি থাকে যা হাড় গঠন, নার্ভাস সিস্টেমকে শক্ত করা এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়তে সহায়তা করে।
৫. হার্ট সবল রাখে :
একটি সুস্থ হার্টের জন্য শারীরিকভাবে কর্মক্ষম থাকা, অনেক ঘুম ও চাপ মুক্ত থাকাটা প্রচণ্ড দরকার। প্রয়োজন ঠিক খাদ্যতালিকার। গাজর ডায়েটরি ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ থাকে। এ উপাদানগুলো ধমনির ওপর কোন কিছুর আস্তর জমতে না দিয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। সুস্থ রাখে হার্টকে।
৬. ত্বকের শুষ্কতা দূর করে :
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজের উপস্থিতি বিদ্যমান গাজরে। এ উপাদানগুলো ত্বককে রাখে সুস্থ ও সতেজ। এসব পুষ্টি উপকরণ ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, স্কিন টোনকে পুষ্ট করা এবং ত্বকে দাগ পড়া হতে রক্ষা করে।
৭. কোলেস্টরেল ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ :
কোলেস্টরেল এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও গাজরের জুস জরুরি অবদান রাখে। গাজরের মধ্যে থাকা পটাশিয়ামই এর মূল কারণ। গাজরে ক্যালরি ও সুগারের উপাদান খুবই কম। এ ছাড়া ডায়াবেটিস প্রতিরোধে যে সকল ভিটামিন ও খনিজের প্রয়োজন তাও বিদ্যমান। চর্বি কমাতে হেল্প করে বলা হয় ওজনও কমে। তাই চিকিৎসকেরা অঙ্গে পুষ্টির সংখ্যা বাড়াতে খাওয়ার আগে বা পড়ে এক গ্লাস গাজরের জুস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
গাজর এবং সব রঙিন সবজি ও ফলে বিটা ক্যারোটিন পাওয়া যায়। এটা শরীরে ভিটামিন এ-এর প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে। বেশি এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আহার উদাহরণসরূপ গাজর খেলে তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও দেহে শক্তি জোগায়।
বিটা ক্যারোটিনের উৎসসমূহ:
গাজর, মিষ্টি আলু, মিষ্টি কুমড়া, পালংশাক, বাঁধাকপি, শালগম, টমেটো, লাল মরিচ, মটর এবং ব্রকলিতে বিটা ক্যারোটিন পাওয়া যায়।
চিকিৎসায় এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে ক্যারোটিনের ব্যবহার: বিটা ক্যারোটিন এক ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট। এ এন্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেশনকে প্রতিরোধ করে এবং শরীরকে ফ্রি রেডিকেলের হাত থেকে রক্ষা করে। ফ্রি রেডিকেল অক্সিডেশনের দ্বারা কোষের লস করে। এটি ফ্রি রেডিকেল কোষের ক্ষতির দ্বারা দেহে নানারকম সমস্যা সৃষ্টি করে।
গবেষণায় নোটিশ যায়, এন্টিঅক্সিডেন্ট দেহে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ফ্রি রেডিকেল প্রতিরোধ করে ও হার্টে সমস্যা ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ:
যারা বহু সংখ্যা ক্যারোটিনয়েড খায় তাদের স্তন, কোলন ও ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস পায় যায়। এন্টিঅক্সিডেন্টের কার্যকারিতার জন্য ক্যারোটিনয়েড ক্যান্সারের বিপক্ষে কাজ করে। বিটা ক্যারোটিন ক্যান্সার কোষ সৃষ্টিতে বাধা দেয়।
বয়স সংক্রান্ত চোখের ত্রুটি: অন্ধত্বের কারণ এটা রেটিনার ক্ষতি করে। দ্য ন্যাশনাল আই ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় নোটিশ যায়, ডেইলি বিটা ক্যারোটিন পুষ্ট খাদ্য খেলে অগউ ঝুঁকি হ্রাস পায় যায়। বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে, চোখের ফাংশন নির্ভুল রাখে ও অগউ ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
হৃদরোগ:
যারা আহারে প্রতিদিন বিটা ক্যারোটিন উন্নত আহার খান তাদের হার্টের বিভিন্ন সমস্যার ঝুঁকি কমে যায় যায়। বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন ই এর মতো কাজ করে যা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বের করে দেয় যা এথারোস্কেলোরোসিস ও স্ট্রোক ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
শ্বাসতন্ত্র:
অধিক হিসাব বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন সি খেলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় এবং শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করে তার একসাথে শ্বাস-প্রশ্বাসের বিভিন্ন প্রবলেম যেমন- অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস ও এমফিসেমা প্রতিরোধ করে।
মুখের ক্ষত: যারা দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবন করেন তাদের মুখে বিভিন্ন ঘা যেমন মুখে অথবা জিহ্বায় ধবল ঘা লক্ষ্য যায়।
গবেষণায় দেখা যায়, যেসব লোকদের মুখে ক্ষত রয়েছে তারা বিটা ক্যারোটিন পুষ্ট খাদ্য খেলে তাদের মুখে ক্ষত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে: গবেষণায় লক্ষ্য যায়, বিটা ক্যারোটিন উন্নত অন্ন রক্তে গ্লুকোজের সংখ্যা কমিয়ে দেয় ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
বাত ব্যথায়: বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি বাত ব্যথার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
স্বাস্থ্য তথ্য
- গাজরের বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন-'এ'-তে রূপান্তরিত হয়ে দৃষ্টিশক্তি অনেক ভালো রাখে। এটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হিসেবেও কাজ করে।
- গবেষণায় নোটিশ গেছে, গাজরে বিদ্যমান ফ্যালক্যারিনল ও ফ্যালক্যারিডিওল ফুসফুস ও অন্ত্রের ক্যান্সারসহ অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
- গাজরের আলফা ক্যারোটিন ও লুটিন নামক উপাদান হৃদরোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
- গাজর হতে স্বীকৃত ভিটামিন-'এ' রক্তের ক্ষতিকর টঙ্কি উপাদানগুলো দেহ থেকে বের করে দিতে সহযোগিতা করে।
- গাজর শ্বাসনালির প্রদাহ নিরাময় করে।
- গাজর দাঁত ও মাড়ির সুস্থতা রক্ষা করে।
- গর্ভবতী মায়েরা গাজরের রস খেলে শিশুর জন্ডিস হওয়ার ঝুঁকি কমে।
- এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- গাজর দেহের যেকোনো চোট নিরাময় করে। গাজরের পল্লব মধুর সাথে মিলিয়ে খেলে মঙ্গল পাওয়া যায়।
- গাজরের স্যুপ ডায়রিয়া রোগে কার্যকরী অবদান পালন করে।
- গাজর কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে।
- গাজরের সাথে কয়েক কোয়া রসুন মিশিয়ে খেলে শীর্ষ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
