তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা রাতে তরমুজ, গরমে তরমুজ খাওয়ার সুফল | Benefits and harms of watermelon Benefits of eating watermelon at night, watermelon in summer
![]() |
তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা রাতে তরমুজ, গরমে তরমুজ খাওয়ার সুফল | Benefits and harms of watermelon Benefits of eating watermelon at night, watermelon in summer |
তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা রাতে তরমুজ খেলে, গরমে তরমুজ খাওয়ার সুফল, তরমুজে মূলত শর্করা, প্রোটিন, ফাইবার এবং ভিটামিন বি, সি পাওয়া যায়। এটি খনিজ গুলোর একটি ভাল উৎস হিসাবে বিবেচিত হয়। তরমুজ খাওয়া আপনাকে প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারের পাশাপাশি তাপ থেকেও মুক্তি দেয় কারণ তরমুজ শরীরে শীতলতা সরবরাহ করে। এটিতে বিটা ক্যারোটিনের পাশাপাশি প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পাওয়া যায়।
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান উপস্থিত রয়েছে যা আপনাকে বিভিন্ন ধরণের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক তরমুজ খাওয়ার সুবিধা, স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং অসুবিধাগুলি কী কী?
- তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা
- তরমুজ মাথা ব্যথা উপশম করতে পারে
- পেশীর ব্যথা থেকে মুক্তি দেয় – তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা
- রক্তচাপ কমাতে তরমুজ খেতে পারেন
- তরমুজের রস ওজন হ্রাস করে – তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা
- উজ্জীবিত থাকার জন্য তরমুজ শরবতের উপকারিতা
- মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য তরমুজ উপকারী
- তরমুজের ঔষধি গুণ হার্ট কে স্বাস্থ্যকর রাখে
- তরমুজ বীজের উপকারিতা – তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা
- হাঁপানি থেকে তরমুজ বাঁচায় – তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা
- পৌরুষ বাড়ানোর জন্য তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা
- কিডনি সুস্থ রাখতে তরমুজের উপকারিতা
- চোখের জন্য তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা
- তরমুজ খাওয়ার অসুবিধা বা অপকারিতা
তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা
পুষ্টিতে সমৃদ্ধ তরমুজ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। আসুন জেনে নি তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা কী।
তরমুজ মাথা ব্যথা উপশম করতে পারে
গ্রীষ্মের মৌসুমে প্রায়শই মাথা ব্যথার সমস্যা বাড়ে, এমন পরিস্থিতিতে মাথাব্যথা দূর করতে আপনি তরমুজ ব্যবহার করতে পারেন। তরমুজ খাওয়া শরীরে শীতলতা সরবরাহ করে এবং তাপের কারণে মাথাব্যথাও দূর হয়। তাই গ্রীষ্মে মাথাব্যথা নিরাময়ে তরমুজ খাওয়া উপকারী হতে পারে।
আরো পড়ুন : টমেটোর ঝাল সস রেসিপি টক ঝাল মিষ্টি টমেটো সস
পেশীর ব্যথা থেকে মুক্তি দেয় – তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা
পেশী ব্যথার অনেক কারণ হতে পারে যেমন বেশি ব্যায়াম করা। এক ধরণের পেশীর স্ট্রেন হয়। এ জাতীয় পরিস্থিতিতে আপনি তরমুজ খাওয়ার মাধ্যমে পেশীর ব্যথা হ্রাস করতে পারেন। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে আপনার যদি পেশীর ব্যথা থাকে তবে তরমুজ খেয়ে ব্যথা কমাতে পারেন।
রক্তচাপ কমাতে তরমুজ খেতে পারেন
আপনি জানেন যে উচ্চ রক্তচাপে পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। আমরা তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের পাশাপাশি অ্যামিনো অ্যাসিড গুলো পেয়েছি যা দেহের রক্তকণাকে সুস্থ রাখতে কাজ করে।
একটি সমীক্ষা অনুসারে, গবেষকরা পর্যবেক্ষণ করেছেন যে স্থূলকায় মানুষের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে তরমুজ খাওয়া উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে, এর জন্য আপনি প্রতিদিন এক গ্লাস তরমুজের রস খেতে পারেন এবং উচ্চ রক্তচাপ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
তরমুজের রস ওজন হ্রাস করে – তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা
হ্যাঁ, আপনি একেবারে ঠিক পড়েছেন, তরমুজ খেয়ে কিছুদিনের মধ্যে আপনার ওজন হ্রাস করতে পারেন। তরমুজ খেতে কেবল সুস্বাদু নয়, এর উপকার গুলো কার্যকর। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে যা আপনাকে ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি আপনার ক্ষুধাও নিয়ন্ত্রণ করে।
তাই আপনি যদি ওজন কমাতে চান তবে আপনার ডায়েটে তরমুজ অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। তরমুজে খুব কম পরিমাণে ফ্যাট থাকে এবং এতে কোলেস্টেরল থাকে না, যা মূলত স্থূলত্বের কারণ হিসাবে পরিচিত।
সিট্রুলাইন নামে একটি উপাদান তরমুজে পাওয়া যায় যা ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে, তাই যদি আপনি ওজন হ্রাস করতে চান তবে আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে তরমুজ অন্তর্ভুক্ত করুন।
উজ্জীবিত থাকার জন্য তরমুজ শরবতের উপকারিতা
দীর্ঘ সময় ধরে কোন কাজ সম্পাদন করার জন্য আরও শক্তির প্রয়োজন। তরমুজ খেয়ে আপনি আপনার শরীরে আরও শক্তি বাড়াতে পারেন। কারণ তরমুজে শক্তির স্তর বাড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে।
তরমুজে পটাশিয়াম, ভিটামিন এবং বিটা ক্যারোটিন রয়েছে যা আপনার দেহের শক্তির মাত্রা বাড়ায় এবং এটি স্থিতিশীল রাখে। আপনি যদি ব্যায়ামের আগে তরমুজের রস খান তবে আপনার অনুশীলনের সময় ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হবে না এবং আপনার শক্তির মাত্রাও থেকে যায়।
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য তরমুজ উপকারী
মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য, আপনার দেহের হরমোনের পাশাপাশি হরমোনগুলোর মাত্রাও ভারসাম্যপূর্ণ হওয়া খুব জরুরি। এই দুটি স্তরের পরিবর্তন গুলো হ’ল উদ্বেগ, টান, মাথাব্যথা এবং হতাশার মতো বড় সমস্যা সহ নানা ধরণের মানসিক সমস্যা।
এ থেকে উত্তরণের জন্য আপনি তরমুজ খেতে পারেন। তরমুজে মন শান্ত করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এতে পাওয়া ভিটামিন সি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ, তাই নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটাতে পারেন। এটি আপনাকে সুখী রাখতে এবং সুস্বাস্থ্য পেতে সহায়তা করতে পারে।
তরমুজের ঔষধি গুণ হার্ট কে স্বাস্থ্যকর রাখে
হার্টজনিত রোগের অনেক কারণ থাকতে পারে তবে এগুলো এড়াতে আপনি ওষুধ হিসাবে তরমুজ খেতে পারেন। হৃদরোগজনিত রোগ গুলো দূর করতে তরমুজ বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
কারণ তরমুজে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রয়েছে যা হৃদরোগজনিত রোগের প্রধান কারণ। একই সাথে তরমুজে ভিটামিন এবং খনিজও রয়েছে যা আমাদের দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে শক্তিশালী করে তোলে, যা আমাদের হার্ট কেও শক্তিশালী করে তোলে।
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। লাল টুকটুকে রসালো এ ফলটি খেতে ছোট-বড় সবাই পছন্দ করে। শারীরিক বিভিন্ন উপকারিতাও মেলে তরমুজ থেকে।
ভিটামিন, মিনারেল, খনিজ পদার্থ সবই থাকে তরমুজে। এতে আছে পটাশিয়াম ও লাইকোপিনের মতো শক্তিশালী সব খনিজ উপাদান।
একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে তরমুজে। পেশির ব্যথা দূর করা থেকে শুরু করে হৃদরোগের সমস্যা সমাধান এমনকি ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও লড়াই করে তরমুজে থাকা পুষ্টিগুণ।
বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদেরকে তরুমুজ খাওয়ার জন্য বিশেষভাবে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কারণ এতে রয়েছে অনেকে পানি। যা গর্ভাবস্থায় ফোলা ভাব ও বিভিন্ন অসুস্থতা থেকে মুক্তি দেয়। এমনকি তরমুজের বীজেও আছে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা।
তবে মনে রাখবেন, সঠিক উপায়ে ও সময়ে তরমুজ না খেলে ঘটতে পারে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা। যেমন- রাতে যদি আপনি তরমুজ খেয়ে থাকেন; তাহলে পেট ব্যথা থেকে শুরু করে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে-
>> সন্ধ্যার পর থেকে শরীরের হজমব্যবস্থা কমে যায়। এজন্যই ডিনারে হালকা খাবার রাখতে বলা হয়। তরমুজে অনেক পানি এবং প্রাকৃতিক অ্যাসিড থাকে, যা হজমের ক্ষেত্রে পেটে ব্যথা বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণ হতে পারে।
>> তরমুজে অনেক প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে। যদিও শরীরের জন্য এটি ভালো; তবে রাতে মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিহার করা উচিত। এতে ওজন বাড়তে পারে।
>> তরমুজে ৯২ শতাংশ পর্যন্ত পানি থাকে। তাই রাতে তরমুজ খেলে, বারবার টয়লেটে যেতে হতে পারে আপনাকে। এ ছাড়াও পেটে ফোলা ভাব হতে পারে।
>> রাতে তরমুজ খেলে ঘুমের ব্যঘাত ঘটতে পারে। উপরোক্ত সমস্যাগুলো দেখা দিলে রাতে আপনি ঠিকভাবে ঘুমাতে পারবেন না।
তাহলে তরমুজ খাবেন কখন?
>> দিনের যেকোনো সময় আপনি তরুমজ খেতে পারেন। তবে একসঙ্গে বেশি না খেয়ে বরং অল্প অল্প করে কয়েকবার কয়েক টুকরো তরমুজ খেতে পারেন।
>> সবচেয়ে ভালো হয় সকালের নাস্তায় যদি আপনি তরমুজ খেতে পারে। তহলে শরীর অ্যানার্জিও পাবে, আর আপনি থাকবেন ফুরফুরে।
>> মনে রাখবেন, তরমুজ খাওয়ার ৩০-৪৫ মিনিটের মধ্যে পানি পান করা থেকে বিরত থাকবেন।
তরমুজ ত্বকের উপকার করে
যদি আপনার ত্বকে freckle বা মেচেতা থাকে, তবে তা থেকে রেহাই পেতে প্রতিদিন তরমুজ খান। এই বিশেষজ্ঞদের কথা এমন, তরমুজের সমৃদ্ধ ভিটামিন ‘এ’ দেহের ত্বকের জন্য উপকারী। নিয়মিত তরমুজ খেলে আপনার ত্বকের হারিয়ে যাওয়া লাবণ্য ফিরে আসবে—এমন সম্ভাবনা প্রবল।
হার্টকে সুস্থ রাখে
জরিপের ফল অনুসারে, তরমুজের একটি বিশেষ উপাদান হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। তা ছাড়া, তরমুজের ভিটামিন-সি, ক্যারোটিন (carotene) ও পটাসিয়াম শরীরের কলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে আপনার হার্ট বড় ধরনের বিপদ থেকে সবসময় সুরক্ষিত থাকে।
কিন্তু তার মানে এই নয় যে, যারা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন, তারা স্রেফ তরমুজ খেয়ে সুস্থ হবার আশায় দিন কাটাবেন। না, মোটেই তা নয়। বুকে ব্যথা হলে বা হার্টের সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিত্কসের শরণাপন্ন হোন।
তরমুজ কিডনি বা বৃক্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়
আপনাদের কেউ কি কখনও কিডনির পাথর রোগে আক্রান্ত হয়েছেন? কিডনিতে পাথর হলে এবং তা নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করলে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে। অনেকে এ ব্যথা সহ্য করতে পারেন না।
যারা, এ থেকে সাবধান থাকতে চান, তাদের উচিত নিয়মিত তরমুজ খাওয়া। না, নিয়মিত তরমুজ খেলে আপনার কিডনি পাথরমুক্ত থাকবে, এমন নয়।
তবে, এতে আপনার কিডনির ওপর চাপ কমবে। আর কিডনি যখন তার কাজ ঠিকমতো করবে, তখন সেখানে পাথর হবার আশঙ্কাও কমবে। নিয়মিত তরমুজ খেলে আপনার প্রস্রাবের ধারা স্বাভাবিক থাকবে। এতে কিডনি পাথর রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমবে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় তরমুজ থাকলে আপনার দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকবে। কারণ, তরমুজে প্রচুর ভিটামিট ‘এ’ থাকে। আর ভিটামিন ‘এ’ থাকা না-থাকার ওপর নির্ভর করে দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক থাকা বা না-থাকা। ভিটামিন ‘এ’-কে চোখের পুষ্টি-বিশেষজ্ঞ বলা হয়।
তরমুজ হাড় সুস্থ রাখে
মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে হাড়ে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। এ সময় শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা বাড়ে। এ বাড়তি চাহিদা পূরণ না-হলে হাত বা পায়ে ব্যথা হবে; হাঁটাহাঁটিতে সমস্যা হবে। অথচ বয়স বাড়লে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করা সার্বিকভাবে শরীর সুস্থ রাখার জন্য জরুরি।
যদি আপনি নিয়মিত তরমুজ খান, তবে এর ক্যারোটিন ও ক্যালসিয়াম আপনার হাড় মজবুত রাখবে। এর সুফল পাবেন বয়সকালে।
তরমুজ রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখে
আপনার রক্তচাপ ঠিক আছে কি? অনেকেই খাদ্যগ্রহণে সতর্কতা অবলম্বন ও শরীরচর্চার মাধ্যমে রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করেন।
চিকিত্সকরা বলছেন, খাদ্যতালিকায় নিয়মিত তরমুজ রাখুন। কারণ, তরমুজে প্রচুর পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।
পেশীর ব্যথা থেকে বাঁচতে তরমুজ খান
অনেকেই দেখা যায় শরীরচর্চার পর পেশীর ব্যথায় ভোগেন। এ থেকে বাঁচতে আপনাকে তরমুজ সাহায্য করতে পারে। শরীরচর্চার অন্তত এক ঘন্টা আগে এক কাপ তরমুজের জুস পান করুন।
দেখবেন, শরীররচর্চার পর পেশীতে ব্যথার অনুভূতি তুলনামূলকভাবে কম হচ্ছে। তবে মনে রাখবেন, তরমুজের জুসে সুগারের পরিমাণ একটু বেশি। তাই জুস না-খেয়ে সরাসরি তরমুজ খাওয়া ভালো।
তরমুজ অ্যাজমা প্রতিরোধে সহায়ক
সাধারণ মানুষ নিয়মিত তরমুজ খেয়ে অ্যাজমা বা হাঁপানি প্রতিরোধ করতে পারেন। তরমুজে প্রচুর ভিটামিন-সি থাকে। যারা ইতোমধ্যে অ্যাজমায় আক্রান্ত হয়েছেন, তারাও তরমুজ খেয়ে উপকার পেতে পারেন। আরেকটি বিষয়, তরমুজ ফুসফুস সুস্থ রাখতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
প্রোস্টেটের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক
যে-কোনো ক্যান্সার প্রতিরোধে তরমুজ ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে—এমনটা ঠিক নয়। তবে, তরমুজে ক্যান্সার-প্রতিরোধক উপাদান আছে। বিশেষ করে, এটি প্রোস্টেটের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
তরমুজ খাওয়ার অপকারিতাঃ
ঠান্ডা তরমুজ শরীরের জন্য ক্ষতিকর, পাকস্থলিতে হজমের ক্ষতি করে। এ ছাড়া তরমুজ অনেক সময় গ্যাস্টিকের কারন।

